Sunday, February 3, 2013

নাস্তিক মতবাদ! নাকি ধর্ম বিরোধীতা?

নাস্তিক মতবাদ! নাকি ধর্ম বিরোধীতা?

লিখেছেনঃ তীর্যক নীল

লগে ইদানিং নাস্তিকতা একটা ফ্যাশন হয়ে দাড়িয়েছে। কারণটাও একদমই সস্তা দরের। কোন ব্লগার হয়তো মাসের পর মাস লিখে চলেছেন, নিজে নিজে তিনি একজন বিখ্যাত ব্লগার, কিন্তু কেউ তাকে চিনেও না জানেও না। ভাল উন্নতমানের লেখা লিখে চলেছেন একের পর এক, কিন্তু কেউ কোন মন্তব্য লিখেনা। তবে ইসলাম ধর্মকে কটাক্ষ করে অথবা নাস্তিকতা টপিকটি ব্যবহার করলেই সকল ব্লগার একদম হুমড়ি খেয়ে পড়েন, কেউ বুঝে, আবার কেউ না বুঝে। ব্যাস, মহুর্তের মধ্যেই সুপার হিট ব্লগার। এই ধরণের সস্তা মন-মানসিকতার ধারকগণই মত প্রকাশের স্বাধীনতার নামে এই কুপথটি বেছে নিয়ে থাকেন। এদের লেখার মান বিবেচনা করলেই খুব সহজে বুঝা যায় এদের জ্ঞানের দৌড়। কিতাব যাদের ওস্তাদ, জাতীয়ভাবে স্বীকৃত কুলাঙ্গার যাদের গুরু, তারাই দু’একটা তথাকথিত বই পড়ে আর দু’একজন ওস্তাদ কুলাঙ্গারের সাথে উঠ্‌বস্‌ করে, দু’চারটি খোড়া যুক্তি শিখে মহা পণ্ডিত বনে যান। এদের বয়কট করাটাই সকল বিশ্বাসী ব্লগারের অবশ্য কর্তব্য। এইসব সস্তা দরের লেখায় কোন মন্তব্য লেখা, উলুবনে মুক্তা ছড়ানোর সামিল। প্রভুভক্ত কুকুরের মতো কোন কিছু না বুঝেই যারা বাহ্বা জানিয়ে মন্তব্য লিখে যান, অথবা শুধু শুধুই তাদের বিরুদ্ধে আগড়ম বাগড়ম মন্তব্য লিখে যারা গর্জে উঠেন, তাদের দৌড় সম্পর্কেও আমি সন্ধিহান। আপনার যদি এতো ভাল জ্ঞান থেকেই থাকে, তাহলে এদের লেখায় কোন মন্তব্য না লিখে, প্রতিউত্তর হিসাবে আপনি কেন একটি সুন্দর পোষ্ট লিখতে পারেন না? কেন শুধূ শুধু এদের লেখায় মন্তব্যের কলেবর বাড়িয়ে এদেরকে জনপ্রিয় করে তুলেন?

অনেক বুদ্ধিমান বন্ধু বিশ্ববিদ্যালয়ে নাস্তিকতা বিষয়ে ছবক দেন, কিন্তু তিনি আবার পাঁচ ওয়াক্ত নামাজও পড়েন। এটা আসলে অনেকটা দুই হাত ভরে ঘুষ খাওয়া, আবার নামাজও পড়ার মতো ইয়ার্কি আরকি। কেন জানি আমাদের সমাজে এই শ্রেণীর লোকই বেশি। এটা আসলে ইন্টেলেকচুয়াল ডিজঅনেস্টি।
নাস্তিকতা আসলে পুরাটাই ভুয়া একটি ফ্যাশন, এটা এখন প্রমাণিত সত্য। এটা সবাই বুঝে। কিন্তু যুক্তি-তর্ক দিয়ে তাদের মোকাবেলা করার মতো সাহস হয়ে উঠেনা অনেকেরই। ব্লগে নাস্তিকতা মতবাদের পক্ষে কেউ কোন কিছু লিখলে, সবাই রেগে গিয়ে খিস্তি-খেউর আউড়াতে থাকে। এতে নাস্তিকরা আরো মজা পেয়ে যায়। অনেকটা ঐ গল্পের মতো যে- এক দেহপসারিনী বুড়ি হয়ে গেলে সে আর কোন খদ্দের পায়না। ধীরে ধীরে তাকে আর বাজে ভাষায় কিছু বলে গালিও দেয়না। এসব গালি না শুনলে তার আবার ঘুম আসতে চায়না। তো সে কি করল, প্রতি রাতে রাস্তায় অন্যায় করে রাখে, আর সকাল বেলা রাস্তা দিয়ে কেউ যাওয়ার সময় অন্যায় দেখে ইচ্ছে মতো গালি-গালাজ করে। এতেই সে মহানন্দ পায়। তাই সে প্রতিদিনই এই কাজটিই করে চলে। তার ঘুমও ভাল হয়।
ঐসব তথাকথিত নাস্তিকদের প্রতি আমার প্রশ্নঃ আপনি কি চাকুরী করেন? বিসিএস বা এজাতীয় কোন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করেছেন? যদি করে থাকেন তাহলে, সেখানে আপনার ধর্মীয় পরিচয় কি মুসলিম লিখেছেন? হিন্দু লিখেছেন? নাকি নাস্তিক? চাকুরীর ক্ষেত্রেও একই প্রশ্ন। যদি মুসলিম বা হিন্দু লিখে থাকেন, তাহলে বলতে হয়, আপনি আপনার নিজের সাথে এখনও প্রতারণা করে চলেছেন। আর যদি নাস্তিক লিখে থাকেন তাহলে তার প্রমাণ তুলে ধরবেন, আশা করি। এখানে আপনি জবাবে হয়তো বলবেন- নাস্তিকতা লেখার রাষ্ট্রীয় কোন স্বীকৃতি ঐ ক্ষেত্রে নাই, তাই লিখতে পারিনা।
কোন খানে আছে শুনি? যেখানে আছে সেখানে চলে যান, ভাল থাকবেন।
নাস্তিকগণ বলে থাকেন- তারা কোন ধর্মে বিশ্বাসী নন। কোন সৃষ্টিকর্তায় বিশ্বাসী নন। কোন অহীতে বিশ্বাসী নন। আমার কথা- এই যে আপনারা কোন কিছুতে বিশ্বাসী নন, এটাই তো আপনাদের একটা বিশ্বাস। এটাই তো আপনাদের একটা ধর্ম, একটা মতবাদ। তাহলে আপনারা কোন ধর্মে বিশ্বাসী নন, সেটা কি করে বলেন? আপনারা আপনাদের এই ধর্মটাকে আকড়ে ধরে রাখুন না, কেন খামোখা অন্য ধর্মাবলম্বীদের কাতুকুতু দিতে যান? তাহলে কি আপনি রাতারাতি বিখ্যাত হওয়ার নীচু মনমানসিকতার পরিচায়ক নন?
মুসলিম পরিবারে জন্ম নেওয়া এই ধরণের তথাকথিত নাস্তিকের সংখাই বাংলাদেশে বেশি লক্ষ্য করা যায়। সেই নাস্তিকদের উদ্যেশ্যে বলি- একটা সময় আপনার মনের ভিতর অসংখ্য প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি মারতে থাকে ইসলামী জীবন ব্যবস্থা সম্পর্কে, যেগুলো আপনার কাছে নিতান্তই কুসংস্কার বলে মনে হতে থাকে। আপনি শত গবেষনা করেও তার সঠিক জবাব বের করতে পারেননি। জবাব জানার জন্যে দৌড়ে গেছেন কোন কাঠমোল্লার কাছে। তিনি আমতা আমতা করে তোতা পাখির মতো কিছু মুখস্ত বুলি আউরে দিল, কিন্তু আপনি তাতে সন্তুষ্ট হতে পারলেন না। কেউ আপনাকে সঠিক জবাব দিতে পারেনি। ধীরে ধীরে শুধু এর ক্ষতিকারক দিকগুলোই আপনার কাছে প্রকাশিত হতে থাকে। আর তাই আপনাকে ইসলাম বিদ্বেষী হয়ে উঠতে প্রভাবক হিসাবে সহায়তা করে আপনার চিন্তা ধারা। এটা যদি হয়ে থাকে, তাহলে এতে আপনার জ্ঞানের দৈন্য দশাই প্রকাশিত হয়েছে মাত্র। কেমন করে? তার জবাব দিচ্ছি একটু পরে।
কোরআন এমন এক শাসত অহী যার সবকিছু সাধারণ মানুষের জ্ঞানের পরিধিতে আসেনা। এটি জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন স্বরূপ। আল-কোরআনের কোন খণ্ডিত অংশ পড়ে যেমন কোরআনকে বুঝা যায়না, ঠিক তেমনি শুধু বাংলা অনুবাদ পড়েও কোরআনের সব আয়াতের যথাযথ অর্থ খুব সহজে ধরা যায়না। এই অর্থে কোরআনকে অনেক কঠিন মনে হলেও আসলে তা নয়। কারণ আল্লাহ কখনো কোন কাঠিন্যের বোঝা তার বান্দাদের উপর চাপিয়ে দেননা। তাই কোরআনকে বুঝতে হলে আমাদেরকে পড়তে হবে। শিক্ষিত হতে হবে। তাই মহান আল্লাহ তা’লা প্রথম অহী পাঠান পড়ার ওপড় গুরুত্ব দিয়ে।
একজন নাস্তিক দাবীদার তথাকথিত ব্লগার, কোটি কোটি মুসলিমের ধর্মীয় বিশ্বাসে চরম আঘাত করেছেন। উলঙ্গ ভাবে ব্যাঙ্গ করতেও ছাড়েননি। চরমভাবে লাঞ্ছিত করেছেন। কিছু বাহ্‌বাও কুড়িয়েছেন। কিছু চেলা বেশ ভালই জুটিয়েছেন। বেশ ভাল! আল্লাহ আপনাকে জ্ঞান-বুদ্ধি দিয়েছেন, আপনি তার জন্য আল্লাহর শুকরিয়া আদায় না করে জ্ঞানের অপব্যবহার করে চলেছেন। আপনার জ্ঞান আছে একথা ঠিক, কিন্তু জ্ঞানের গতিপথ উল্টোমুখী। সেটা কিরকম?
পেথিডিন চিকিৎসা জগতের একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। ১৯৬০ সালে ডাঃ পল জনসেন প্রথম ইহা চিকিৎসা বিজ্ঞানে ব্যবহার করেন এবং তাই পেথিডিনের আবিষ্কারক হিসাবে ইতিহাসের পাতায় তার নামটি সোনালী হরফে লেখা হয়ে যায়। আপনার মতো আরেক মহাজ্ঞানী আরো একধাপ এগিয়ে আবিষ্কার করলেন পেথিডিন কে একটি নেশার উপকরণ হিসাবে। সেই মরণ নেশা আজ মানব জাতির জন্য অভিশাপ। দুই আবিষ্কারকই জ্ঞানী সেটা বলার অপেক্ষা রাখেনা, কিন্তু একজন জ্ঞান প্রয়োগ করেছেন মানব কল্যাণে আরেক জন প্রয়োগ করেছেন মানব জাতি ধ্বংসের কাজে।
ঠিক তেমনি ডিনামাইট আবিষ্কারও ছিল আলফ্রেড নোবেলের একটি যুগান্তকারী আবিষ্কার। মানব কল্যাণেই ডিনামাইটের আবিষ্কার। কিন্তু আপনার মতো আরেক মহাজ্ঞানী আবিষ্কার করলেন এটাকে কিভাবে বোমা হিসাবে ব্যবহার করে মানব জাতি তথা স্থাপনা ধ্বংসের মাধ্যমে যদ্ধ-বিগ্রহ সৃষ্টি করা যায়।
একজন ঘুষখোর সব সময় চিন্তা করে, গবেষনা করে- কিভাবে, কত সূক্ষ্মভাবে ঘুষ খেলে সে ধরা পড়বে না। একজন চোর সব সময় চিন্তা করে, গবেষনা করে- কোন প্রক্রিয়ায়, কোন প্রযুক্তি ব্যবহার করে চুরি করলে সে ধরা পড়বে না। আর একজন ভাল মানুষ সব সময় চিন্তা করে, গবেষনায় ব্যস্ত থাকে কি করে মানব কল্যাণে ভূমিকা রাখা যায়। একজন মুমিন সবসময় গবেষনা করে কিভাবে নিজে ও সকল মুসলমানগণ দুনিয়া ও আখিরাতে শান্তি লাভ করবে।
ধর্ম প্রবর্তকের চেযেও আপনি মহাজ্ঞানী সেটা আপনি প্রমাণ করেছেন। খুব ভাল কথা। আমিও মেনে নিচ্ছি আপনি মহা জ্ঞানী। তাহলে আপনার কি উচিৎ ছিলনা, তাঁর চেয়েও আপনার ধর্মটা উৎকৃষ্ট এটা প্রমাণ করুন। তাঁর চেয়েও উৎকৃষ্ট কিছু করে দেখান। তাহলেই তো আপনার জ্ঞানের মহিমান্বিতা প্রকাশ পেত। কিন্তু আপনি তা না করে আপনার জ্ঞানকে সেই পেথিডিন বা ডিনামাইটের অপব্যবহারের মতো বিপরীতমুখী কাজে ব্যবহার করলেন। এই একটি কারণেই আপনি আপনার মনে জেগে উঠা প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজে পাননি। আপনার মতো মহাজ্ঞানী আর ঐ মহা জ্ঞানীর মধ্যে পার্থক্য কোথায়, যে মহাজ্ঞানী পেথিডিনকে নেশাকারক হিসাবে আবিষ্কার করেছে, যে মহাজ্ঞানী ডিনামাইটকে বোমা হিসাবে ব্যবহার করে কোটি কোটি মানুষের প্রাণ নিয়ে ছিনিমিনি খেলেছে? পার্থক্য কোথায় আপনার মাঝে আর ঐ ঘুষখোর বা চোরের মাঝে?
আমি বলবো এটি আপনার জ্ঞানের অধঃপতন। প্রথমে আপনি মানুষ থেকে কুকুর, এবং পরে পাগলা কুকরে রূপান্তরিত হয়ে গেছেন। এখন পাঠকদের কাছে আমার প্রশ্নঃ- কুকুর পাগলা হয়ে গেলে আপনি কি করবেন?
তাকে আদর সোহাগ করে, বাবারে সোনা’রে বলে বুঝিয়ে বলবেন- বাবারে মানুষকে কামড়াইওনা, এটা ভাল কাজ নয়।
ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে তাকে নানারকম যুক্তি দিয়ে বুঝিয়ে দিবেন- মানুষকে কামড়ানো ভাল কাজ নয়। নাকি -
তাকে মানবতার দোহাই দিয়ে মানবাধিকারের রেফারেন্স দিয়ে চিঠি লেখবেন- সে যেন মানুষকে আর না কামড়ায়।
কোনটি করবেন প্রিয় পাঠক?
কুকুর পাগলা হয়ে গেলে তার কোন চিকিৎসা ব্যবস্থা আবিস্কৃত হয়েছে কিনা আমার জানা নাই।
পাগলা কুকুরকে পাকড়াও কড়ার দায়িত্ব সিটি কর্পোরেশনের, এমন পরামর্শও আমাকে দেওয়া হয়েছে।
বর্তমান সিটি করপোরেশন এই কাজটি করবে বলে কি ঢাকাবাসী বিশ্বাস করেন? আর কখন করবেন এই ভরসায় আপনি কি বসে থাকবেন?
যেখানে সিটি করপোরেশন নাই সেখানে কি করবেন?
ধর্ম মানব জাতির মধ্যে সামাজিক শৃঙ্খলা সৃষ্টি করে, আর আপনি সেই সামাজিক শৃঙ্খলাকে ভাঙতে আপনার জ্ঞানকে ব্যবহার করছেন। জ্ঞান তো আপনার আছে, কিন্তু জ্ঞানটাকে আপনি কি কাজে লাগাচ্ছেন সেটা নিয়ে ভাবতেও জ্ঞানটাকে একটু কাজে লাগান।
ইসলাম পৃথিবীতে শ্রেষ্ঠ মানবতার ধর্ম। বিশ্বে যতগুলো মানবাধিকার সংঘটন আছে, তারা ইসলামের গুটি কয়েক নীতি মেনে চলেছেন মাত্র। আরো অনেক মানবাধিকার নীতি শিক্ষা দেয় আমাদের আল কোরআন। ( এব্যাপারে কারো কোন সন্দেহ থাকলে মন্তব্যে লিখুন, আমি জবাব দিতে চেষ্টা করবো ইনশাল্লাহ। ) সেটা আমরা যারা উত্তরাধিকার সূত্রে মুসলিম তারা জানিনা। কারণ আমরা আমাদের ধর্মগ্রন্থগুলো ভালভাবে কখনো পড়িইনা। সেটাতো ধর্মের দোষ নয়। আমাদের দোষ, আমরা পড়িনা, শিখি না, মানিনা। আর গুটি কয়েক কাঠমোল্লাকে দিয়ে ইসলাম ধর্মকে বিচার করতে যাওয়ার মানে হচ্ছে, অপরিণত কোন চালককে দিয়ে গাড়ির মান যাচাই করার মতো।
প্রশ্ন থাকে, আপনার মৃত্যুর পর লাশ কোন ধর্ম মতে সৎকার করা হবে? হয়তো আপনি অতি সহজ একটি সমাধান দিয়ে দিবেন- লাশটি সৎকার করার কোন প্রয়োজন নাই। লাশটি কোন মেডিক্যালে দান করে যাবেন, ভবিষ্যত শিক্ষার্থীদের জন্য। বাহ্‌‌ কি সুন্দর সমাধান। কিন্তু আপনি এই গ্যারান্টি কি করে দেন যে মৃত্যুর পর মেডিক্যালে আপনার লাশটি কোন কাজে আসবে? এমনও তো হতে পারে আপনার মতো জ্ঞানীদের আবিষ্কার কোন বোমা আপনার লাশটির এমন দশা করল যে, কয়েকটি পোড়া মাংসের টুকরা ছাড়া আর কোন কিছুই অবশিষ্ট পাওয়া গেলো না। তখন মেডিক্যাল ঐ কয়েকটি পোড়া মাংসের টুকরা কি কাজে লাগাবে ? আবার এমনও তো হতে পারে মৃত্যু আপনাকে এমন এক জায়গায় টেনে নিয়ে গেল যে, আপনার লাশটি পড়ে থাকল কোন আগাড়ে-বাগাড়ে। শিয়াল, কুকুর আর শকুন টেনে ছিঁড়ে খাবে। কোন মেডিক্যালের এজেন্টের সাধ্যে কি কুলাবে আপনার লাশটির হদিস বের করা? আরো কত কিছুই তো ঘটতে পারে।
মনে আছে তো আপনাদের ঐসব তথা কথিত গুরু; আহমেদ শরীফ, হুমায়ুন আজাদকে। তারা আজ কোথায়? আপনি কি জানেন তাদের লাশটি কি করা হয়েছে?
ধর্ম হচ্ছে বিশ্বাস। বিশ্বাসে কোন যুক্তি প্রমাণের প্রয়োজন পড়েনা। তথাপি কোরআন একটি প্রমাণিত সত্য। যে বিজ্ঞানের দোহাই দিয়ে নাস্তিকতার সৃষ্টি সেই বিজ্ঞান কি প্রমাণিত সত্য? কিন্তু বিশ্বের সকল বিজ্ঞানীগণ এই কোরআনের তথ্য নিয়েই আবিষ্কারের নেশায় মেতে উঠেন। কারণ কোরআন জ্ঞানীদের জন্য নিদর্শন স্বরূপ। সেই বিজ্ঞানীরা কিন্তু আপনাদের মতো তথাকথিত নাস্তিক নন কেউই। কোরআনের বিভিন্ন তথ্য সব মিলিয়ে প্রায় ৮০% তথ্য এযাবৎ সত্য প্রমাণ করেছে বিজ্ঞানীগণ। কিন্তু ১% ও মিথ্যা প্রমাণ করতে পারেনি। তার মানে হচ্ছে বাকি ২০% ও সত্য। চিন্তা করতে শুরু করুন এখনই।
আর হ্যা! আরেকটি কথা, আপনি নাস্তিক। আপনি যেহেতু আল্লাহ (যিনি আপনার কাছে অলীক), রাসুলুল্লাহ সাঃ ( যিনি ইতিহাসে বাস্তব ) কোনটাতেই আপনি বিশ্বাস করেন না, সেহেতু আপনার বাবাকে পরের বার বাবা ডাকার আগে ডিএনএ টেষ্ট করে নিতে ভুলে যাবেন না যেন। কেন খামোখা শুধু শুধু আপনার মায়ের কথার উপর আন্দাজে বিশ্বাস করে কোন এক পুরুষকে বাবা বলে ডেকে চলেছেন এতোদিন যাবৎ?



No comments:

Post a Comment