Wednesday, March 6, 2013

ফেরআউনের লাশ- নাস্তিকদের জন্য জীবন্ত নিদর্শন

ফেরআউনের লাশ- নাস্তিকদের জন্য জীবন্ত নিদর্শন




পিরামিডে/যাদুঘরে যত লাশ সংরক্ষিত আছে সবগুলোই মমি করা শুধু ফেরআউনের লাশটি ব্যতীত। এটি কোন ধরণের উপাদান ব্যতীতই সংরক্ষিত আছে।

ফেরাউন তার সম্প্রদায়কে ডেকে বলল, হে আমার কওম, আমি কি মিসরের অধিপতি নই? এই নদী গুলো আমার নিয়ন্ত্রণে প্রবাহিত হয়, তোমরা কি দেখ না? {সুরা যুখরুফ, আয়াত-৫১}
আর বনী-ইসরাঈলকে আমি নীলনদ পার করিয়েছি। তারপর তাদের পশ্চাদ্ধাবন করেছে ফেরাউন ও তার সেনাবাহিনী, দুরাচার ও বাড়াবাড়ির উদ্দেশে। অতঃপর যখন আমি তাকে ডুবিয়ে দিলাম তখন সে বলল, এবার ঈমান আনছি তিনি ছাড়া কোন মা’বুদ/উপাস্য নেই যাঁর উপর ঈমান এনেছে বনী-ইসরাঈলরা। বস্তুতঃ আমিও তাঁরই অনুগতদের অন্তর্ভুক্ত। এখন একথা বলছ! অথচ তুমি ইতিপূর্বে না-ফরমানী করছিলে। এবং পথভ্রষ্টদেরই অন্তর্ভুক্ত ছিলে। অতএব আজ আমি তোমার দেহকে সংরক্ষণ এর ব্যবস্থা করব যাতে তোমার লাশ পরবর্তীতে আগমণকারীদের জন্য নিদর্শন হতে পারে। আর নিঃসন্দেহে বহু লোক আমার মহাশক্তির প্রতি লক্ষ্য করে না। {সুরা ইউনুস, আয়াত-৯০-৯৩}

ঐতিহাসিকগণ ১৮৯৮ সালে ফেরাউনের লাশ উদ্ধার করেন। যা আজ মিশরের কায়রোতে দ্যা রয়েল মমী হলে একটি কাচের সিন্দুকের মধ্যে রয়েছে। এর দৈর্ঘ ২০২ সেন্টিমিটার। ৩১১৬ বছর পানির নীচে থাকা সত্ত্বেও তার লাশে কোন পচন ধরে নি। মুহাম্মদ (স.) এর যুগের আরব জাতি ও অন্যরা মিশরীয়দের মধ্যে, ফেরাউনের পানিতে ডুবে মারা যাওয়া কিংবা তার লাশ সংরক্ষণ- এটা মুসলমান তথা সারা বিশ্বের জাতি গোষ্ঠির জন্য এক অনন্য নিদর্শন।


এখনো পৃথিবীতে এমন মানুষ আছে যারা নাকের ডগায় মৃত্যুর ঘ্রাণ পেয়ে তারপর আল্লাহকে বিশ্বাস করে কিন্তু তখন আর কী কাজ হবে।

No comments:

Post a Comment